6:38 AM, 13 November, 2025

মেধাবী ছাত্র সাগরের বাবার আকুতি

FB_IMG_15555819575220262
মো. স্বপন হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার:

ক্ষুধা রোগে শোকে যন্ত্রণা বুকে অনাহারি কেঁদে মরে ধুকে ধুকে। দীনতার সঙ্গে লড়ে যায় অসহায়-তবু ঐ সাগর আকন্দ বাঁচতে চায়।

পরিবারের তিন ভাই-বোনদের মধ্যে সাগর আকন্দ মেঝো। সে কঠিন বিরল রোগে আক্রান্ত। সারা শরীরের হাড়ের ভিতরে ব্যথা। প্রতিনিয়ত মৃত্যু তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার বীর পাইকশা গ্রামের দিনমজুর মো. আবু শহিদ আকন্দের মেঝো ছেলে। পরিবারে দারিদ্র্যতার শেষ নেই। যেন নুন আনতে পান্তা ফুরায়। কাজ না করলে দুইবেলা খাবার জোটে না তাদের। দিনমজুরি করে যা আয় হয়, তা দিয়ে ৫ জনের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য। খড়-কুটো দিয়ে কোনোমতে বাসা বানিয়ে তারা বসবাস করছে। খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে দিন কাটছে তাদের। এরই মধ্যে ছোটবেলা থেকে বিরল রোগে আক্রান্ত। ৫ বছর ধরে অসুস্থ সন্তানদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে দিনমজুর বাবা এখন নিঃস্ব ও দিশেহারা। চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিলেও অর্ধের অভাবে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানায়, দরিদ্র বাবার তিন সন্তানের মধ্যে বিরল রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র সাগর আকন্দ গলাচিপা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে। বারো বছরের শিশু সাগর আকন্দের সময় কাটে বাড়িতে শুয়ে-বসে। প্রতি মাসে তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা ও চিকিৎককের ফিসহ অনেক টাকা খরচ পড়ে। কিন্তু দিনমজুরির কাজ করে দরিদ্র বাবার পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

গলাচিপা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম খান জানান, বিরল রোগে আক্রান্ত সাগর আকন্দ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে দিন দিন। কিন্তু দিনমজুর বাবা মো. শহিদ আকন্দের পক্ষে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দিনে যা আয় করেন, তা দিয়ে ৫ জনের সংসারে খাবার জোটাতেই কষ্ট হচ্ছে তাদের।

এমতবস্থায় বিরল রোগে আক্রান্ত সাগর আকন্দকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি সহ সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন দিনমজুর বাবা মো. শহিদ আকন্দ। তিনি বলেন, সমাজের মানুষের কাজে হাতপাতা ছাড়া কোনো উপায় নেই আমার। সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে আমার সন্তানকে বাঁচাতে পারবো। মানুষের সহযোগিতা ছাড়া আমার পক্ষে তাদের চিকিৎসা খরচ চালানো সম্ভব না।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা অসুস্থ সন্তানের বাবা মো. শহিদ আকন্দ। মোবাইল (০১৭০৩৭০১০৮২)।