3:27 AM, 13 November, 2025

কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা মৃত্যুবরণ করেও গোলাপগঞ্জ উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ফারুক

Pic

মোঃ রুবেল আহমদ, গোলাপগঞ্জ থেকে ঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাবেক পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ছিলেন মো. ফারুক আজম চৌধুরী। তিনি গত বছরের ১১ মে মৃত্যুবরণ করেন। ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে ১৫ মাস। অথচ মৃত্যুর ১বছর পরও স্বপদে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে গোলাপগঞ্জে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে ৩ জন কর্মকর্তা রদবদল হলেও উপজেলা তথ্য বাতায়ন (ওয়েসবসাইটে) দেখাচ্ছে ফারুক আজম চৌধুরীর নাম। উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট থাকলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার ওয়েবসাইট (যঃঃঢ়://িি.িমড়ষধঢ়মধহল.ংুষযবঃ.মড়া.নফ) ভিজিট করে দেখা যায় কেবল পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নয়, গোলাপগঞ্জ মডেল থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়, উপজেলা মৎস্য অফিসসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর নিয়ে ওয়েবসাইটে রয়েছে তথ্য বিভ্রান্তি। কোন কর্মকর্তা ৩ বছর আগেই হয়েছেন অন্যত্র বদলি আবার কেউ অবসর নিলেও তাদের নাম, ছবি আর মোবাইল নম্বরই এখনো দেয়া রয়েছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ওয়েবসাইটে।
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশের সকল জেলা-উপজেলাকে অনলাইনের আওতায় এনেছেন। কিন্তু গোলাপগঞ্জে ডিজিটালের ছোঁয়া লাগলেও ভুল তথ্যের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বিভ্রান্তি। উপজেলার ওয়েবসাইট থাকলেও নিয়মিত আপডেট করার অভাবে কার্যত কোন কাজেই আসছে না ওয়েবসাইট। বরং ওয়েবসাইট থেকে নাম্বার সংগ্রহ করে কল দিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় জনসাধারণকে।
সংশ্লিষ্ট এমন উদাসীনতায় ওয়েবসাইটের তথ্য বিভ্রাটে কাঙ্খিত সেবা থেকে বি ত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। উপজেলা প্রশাসনের খামখেয়ালিতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত আপডেট করা হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে। তথ্য বাতায়নে উপজেলা প্রশাসনের এমন উদাসীনতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যাহত হচ্ছে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ওয়েবসাইটে আরো দেখা যায়, বর্তমানে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে মিজানুর রহমান দায়িত্বে থাকলেও বদলি হয়ে যাওয়া কর্মকর্তা পূর্ববর্তী ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীকে স্বপদে বহাল দেখানো হয়েছে ওয়েবসাইটে। উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার হিসেবে ফনীন্দ্র চন্দ্র সরকার’র নাম ও মোবাইল নাম্বার পাওয়া যায়। মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, চলতি বছরের মে মাসের শেষ সপ্তাহে বদলী হয়ে তিনি টাঙ্গাইলে কর্মরত আছেন। গোলাপগঞ্জে বর্তমানে এ পদে কর্মরত আছেন আহম্মেদ কবির খাঁন। এছাড়াও তথ্য বাতায়নে দেখা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে ডা. রেহান উদ্দিনের নাম, মোবাইল ও ছবি। অথচ ৩ বছর আগেই গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলী হয়েছেন তিনি। মুঠোফোনে আলাপ হলে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন ডা. তউহিদ আহমদ।
এদিকে গত বছরের এপ্রিলে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান অবসরে যান। তবে ওয়েবসাইটে হাবিবুর রহমানের কর্মরত আছেন বলে তথ্য রয়েছে। অথচ বর্তমানে এ পদে কর্মরত আছেন মাহমুদুল হাসান। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়িত্বে হাবিবুর রহমান থাকলেও ওয়েবসাইটে আলতাফুল হক ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইদুর রহমানের পরিবর্তে রয়েছে এমদাদুল হক’র নাম। এছাড়াও সমাজসেবা অফিসার ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার কলামে কোন তথ্যই পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান বলেন, আমার অফিসের তথ্য আপটেড করেছি। আমার অফিস ছাড়া বাকী অফিসের তথ্য স্ব স্ব কর্মকর্তার আপডেট করার কথা। তবুও বিষয়টি আমি দেখছি।