বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার ১ নম্বর গুলিশাখালী ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমতলী আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে আমতলী উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মুখে কালো কাপড় বেঁধে এলাকার হাজারো নারী-পুরুষ এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।

মানববন্ধন শেষে আমতলী উপজেলা পরিষদের সামনে উপস্থিত বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জনগণ ও সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হামলার শিকার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ওপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তার গোটা পরিবারই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেছেন।
গুরুতর আহত অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেছেন- তিনি ঘটনার সাথে জড়িত ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন এবং তাদের মধ্যে দুজনকে পুলিশ আটক করেছে বলেও তিনি মত পোষণ করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করেন তিনি।
তিনি উক্ত মানববন্ধনে আসাদ বাহিনী নামের একদলকে প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে তিনি মত প্রকাশ করেন। হত্যাকারীরা তাকে হত্যা করবেন অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের আগের দিন তথা ৩০ এপ্রিল সকালে গুলশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের যাবার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটায় এলাকার কিছু দুর্বৃত্তরা।
উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোহ মতিউর রহমান, তিনি এর সমাপনী বক্তব্যে বলেন আমতলীতে আজকের পর যদি কোনো অরাজনৈতিক কোনো ঘটনা ঘটে তবে তিনি যেই হোক না কেন তাকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমতলীতে কোনো প্রকার ও অরাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ড ঘটেনি। তাহলে উপজেলা নির্বাচনে কেন আমতলী আজকে উত্তপ্ত বলে সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সকল নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান।