ধর্ষণ মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা সংক্রান্ত মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে এ সংক্রান্ত তিনটি মামলার আপিল শুনানীকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালকে এ নির্দেশ দেন বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ।
এসময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ২০ ধারা অনুযায়ী সকল কার্য দিবসে এসব মামলার শুনানী পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্ট ট্রাইবুনালের বিচারকদের নির্দেশ দেন আদালত।
এছাড়া, এসব মামলার শুনানীর সময় আদালতে স্বাক্ষীদের উপস্থিতকরণ ও পরবর্তীতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রতি জেলায় একটি করে মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি ও ট্রাইবুনালের পিপির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত। কমিটিতে ট্রাইবুনালের পিপিকে সমন্বয়ক থেকে এর যাবতীয় কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন সুপ্রীম কোর্ট, সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আদালত বলেন, নির্ধারিত দিনে স্বাক্ষীদের আদালতে উপস্থিত করতে না পারলে এই মনিটরিং কমিটি তার জন্য জবাবদীহি করবে।
আদালত বলেন, এ ধরনের মামলায় কোনো ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, চিকিৎসকসহ অন্য কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি সন্তোজনক কারণ ব্যতিত আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে ব্যর্থ হন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজনে সাময়িকভাবে তাদের বেতনভাতা বন্ধের সুপারিশ করবে ট্রাইবুনাল।
এসব মামলার স্বাক্ষীদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে জরুরিভিত্তিতে একটি আইন প্রণয়নের কথা বলেন আদালত।
এসময় আদালত প্রত্যাশা করেন যে, অতি অল্প সময়ের মধ্যে সরকার এ ধরনের একটি আইন প্রণয়ন করবে।
তিনটি পৃথক ধর্ষণ মামলার আপিল শুনানীর পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেন। আপিল শুনানীকালে আদালত বগুড়ার আসামি মো. রাহেল ইলিয়াস রায়হান ও ঢাকার আসামি সেকেন্দার আলীর জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করেন। আর, একই ধরনের মামলায় নোয়াখালীর আসামি মো. সারোয়ার রুবেলের জামিন মঞ্জুর করেন।
