প্রাণি-মাছেই ৮০ ভাগ অ্যান্টিবায়োটিক, কাজে আসছে না মানবদেহে

নিউজ ডেস্কঃ বাজারে থাকা অ্যান্টিবায়োটিকের ৮০ ভাগই ব্যবহার করা হচ্ছে প্রাণী ও মাছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র গবেষকগণ। এছাড়া পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক থাকা নিয়ে অধ্যাপক ফারুকের পরীক্ষায় যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে বলেও জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসি অনুষদের ডিন।
ইনডিপেনডেন্ট টিভির এক প্রতিবেদনে এমন খবর প্রকাশ করা হয়।
এর ফলে মানবদেহে অকার্যকর হয়ে পড়বে অ্যান্টিবায়োটিক। যে কোনো ছোট সংক্রমণ থেকেই মৃত্যুঝুঁকি বাড়বে রোগীর। পাস্তুরিত দুধে ডিটারজেন্ট-অ্যান্টিবায়োটিকসহ নানা ক্ষতিকর পদার্থ পাওয়ার দাবি করে গবেষণার ফল প্রকাশ করেন বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। ঢাবি’র অ্যাডভান্স রিসার্চ সেন্টারের ১৯ প্যারামিটারে দুধের মান পরীক্ষা করেন ফারুকসহ ৮ জন গবেষক।
গবেষণা রিপোর্টি প্রকাশের পর দুধ উৎপাদন করা প্রতিষ্ঠানসহ নানা পর্যায় থেকে এ পরীক্ষার গ্রহযোগ্যতা নিয়ে উঠে প্রশ্ন উঠলে ঢাবি ফার্মেসি অনুষদের ডিন জানান, যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।
এ বিষয়ে গবেষকরা বলেন, ‘বাজারে থাকা অ্যান্টিবায়োটিকের ৮০ ভাগই ব্যবহার হচ্ছে প্রাণী ও মাছে। এতে দুধসহ অন্যান্য খাবারের মধ্য দিয়ে মানবদেহে যাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। কমছে পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা। বিরূপ প্রভাব পড়ছে হার্ট, লিভার ও কিডনিতে।’
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘দুধে যে কোনো মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষতিকর। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারায় মানবদেহ। এক পর্যায়ে অকার্যকর হয়ে পড়ে অ্যান্টিবায়োটিক।’
এ দিকে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় পাস্তুরিত দুধের নমুনা ৪ গবেষণাগারে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেসব প্রতিবেদন দেখেই বাজারে থাকা ৭ কোম্পানির দুধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা সতর্ক করে বলেন, ‘নির্বিচারে ব্যবহার বন্ধ না হলে ত্রিশ বছরের মধ্যে ক্যান্সার নয় অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে মারা যাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ।’
