আমতলীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষে সংঘর্ষ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার ও আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার দুই প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার দুপুরে ইসলামপুর গ্রামে দেলোয়ার শাহ এর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। জানা গেছে, ঘোড়া প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধা শনিবার দুপুর ১ টার সময় ৮-১০ জন লোক নিয়ে প্রচারের জন্য ইসলাম পুর গ্রামের দেলোয়ার শাহ এর বাড়িতে অবস্থান নেন। এসময় নৌকা প্রতিকের কর্মী ও সমর্থকরা খবর পেয়ে শতাধিক লোক লাঠিসোঠা নিয়ে ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালান। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধার ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধাসহ তার ৮ জন কর্মী আহত হন।
আহতরা হল আরিফুল ইসলাম জামাল (৪৯), আলমগীর প্যাদা (৩৫), কারিমুল হাসান (৫০), শহীদুল হাওলাদার (২২), খালেক বেগ (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৬), ছালাম মাতুব্বর (৩০) আলাউদ্দিন হাওলাদার (৪০)। আহত ৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার তিনি হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার কর্মী সমর্থকরা আমার উল্টাখালী ও কলঙ্ক নামক স্থানের দুটি নির্বাচী অফিস ভাংচুর করেন। এসময় বাঁধা দিলে তারা আমার চার জন কর্মীকে আহত করেছে। আহত কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা হাসপতালে নিতে দিচ্ছেনা বলেও তিনি অভিযোগ করেন মিন্টু মৃধা।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার জানান, সংঘর্ষের সাথে জড়িত থাকায় সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এরা হল রবিউল মালাকার (১৭),জসিম উদ্দিন মোল্লা (২৮), শাহ জালাাল আকন (৩৫) ও মোঃ আরিফ হাওলাদার (১৭)। এলাকায় শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
