পিছিয়ে গেলো জিপিএ-৪ বাস্তবায়ন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পিছিয়ে গেলো জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ (জিপিএ) পদ্ধতির সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ এর পরিবর্তন। যথেষ্ট প্রস্তুতির অভাবে সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৪ এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম পিছানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘জিপিএ-৫ থেকে জিপিএ-৪ রূপান্তর সময়ের দাবি। কিন্তু এটা প্রবর্তনের আগে ব্যাপক আলোচনা দরকার। সেজন্য কিছুটা সময়ের প্রয়োজন।’
অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক আরো বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ও অভিভাবক অংশীজনের সাথে আলোচনা শেষে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পরিবর্তন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হতে পারে। তবে কোন পরীক্ষা থেকে তা বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে এখন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
প্রসঙ্গত, ১০ জুন মন্ত্রণালয়ে সব বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ওই বৈঠকে বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষার ফল সর্বোচ্চ ধাপ জিপিএ-৫ এর পরিবর্তে জিপিএ-৪ করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে প্রস্তাবনা দিতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করার পর একাধিক বৈঠক করেছে। গত ২৬ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রীর হাতে জিপিএ পরিবর্তনের একাধিক প্রস্তাব দেয়া হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, বোর্ড চেয়ারম্যানরা গ্রেড পরিবর্তনে প্রস্তাবনা শিক্ষামন্ত্রীকে দেয়ার পর এ বিষয়ে তড়িঘড়ি না করার জন্য অনুরোধ জানানো হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেড পরিবর্তন একটি বড় ধরনের কাজ, তাই সংশ্লিষ্টদের মতামত নিয়ে কার্যকর হবে।’ এ বিষয়ে গভীর পর্যবেক্ষণমূলক কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বোর্ড চেয়ারম্যানদের প্রস্তাবনায় দেখা গেছে, পাবলিক পরীক্ষায় বিশ্বের সঙ্গে আমাদের নম্বরের শ্রেণি-ব্যাপ্তির সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ কারণে বহির্বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল পদ্ধতি পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়। নতুন পদ্ধতিতে জিপিএ-৫ পরিবর্তন করে জিপিএ-৪ করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
প্রস্তাবনায় নতুন গ্রেড অনুসারে, পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পাস নম্বর ১০০ করা এবং জিপিএ-৪ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ থেকে ৯৫ নম্বর পেলে ‘এক্সিলেন্স গ্রেড’ যুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী পাঁচ নম্বর কম ব্যবধানে এ-প্লাস, এ, এ-মাইনাস, বি-প্লাস, বি, বি-মাইনাস, সি-প্লাস, সি, সি-মাইনাস, ডি-প্লাস, ডি, ডি-মাইনাস, ই-প্লাস, ই এবং ই-মাইনাস গ্রেড যুক্ত করা হয়েছে। অকৃতকার্য বা ফেল করলে এফ গ্রেড থাকবে।
এছাড়া সর্বনিম্ন পাস নম্বর নির্ধারণ করা হয় ৩৩। এসব গ্রেডের সঙ্গে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ জিপিএ- ৪ থেকে পরবর্তী গ্রেড নির্ধারণ করা হবে। পাস নম্বর ৪০ বা তার কম করার বিষয়েও বিবেচনা করতে প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে অধিকাংশ বোর্ড চেয়ারম্যানরা এটা ৩৩ নম্বর রাখার পক্ষে।
