8:13 AM, 13 November, 2025

রিকশা বন্ধে অনড় অবস্থানে ‍ডিএনসিসি

dhaka-north-city-corporation

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিক্ষোভের পরেও রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মালিবাগ পর্যন্ত প্রগতি সরণিতে রিকশা চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আন্দোলনরত রিকশাচলকদের প্রতিনিধি ও মালিকদের সাথে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

বুধবার ঢাকা উত্তরে নগর ভবনে রিকশা মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মেয়র আতিকুল বলেন, ‘কুড়িল থেকে মালিবাগ পর্যন্ত প্রগতির সরণির মূল সড়কে কোনো রিকশা চলাচল করবে না। তবে এ সড়কের পাশে কোথাও কোথাও বিদ্যমান সার্ভিস লেইন দিয়ে শুধু বৈধ রিকশা চলতে পারবে।’

এক্ষেত্রে রিকশা চলাচলের রুট নিয়ে মেয়র বলেন, ‘কেউ কুড়িল থেকে রামপুরা যেতে চাইলে নর্দ্দা পর্যন্ত ভেতরের সড়ক ব্যবহার করবে। নর্দ্দা থেকে কালাচাঁদপুর (সুবাস্তুর আগে) পর্যন্ত সার্ভিস লেইন ব্যবহার করবে। সেখান থেকে ভেতরের সড়ক দিয়ে রামপুরা ব্রিজের আগে মূল সড়কে উঠে ব্রিজ পার হবে।’

উত্তর সিটি এলাকায় দুই হাজার ৩০০ কিলোমিটার সড়কের মাত্র ১৫ কিলোমিটার এলাকায় রিকশা বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র দাবি করেন, চালকরা প্রগতি সরণিতে রিকশা বন্ধ হলেও চালকদের কোনো সমস্যা হবে না।

তিনি আরো বলেন, ‘যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যানবাহন একসঙ্গে চলাচল করলে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

সভায় রিকশা মালিক ও শ্রমিক কমিটির প্রতিনিধিরা কুড়িল থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত মূল সড়কে রিকশা চলাচলের অনুমতির জন্য অনুরোধ জানালে মেয়র সে অনুরোধ রাখেননি।

সভায় বাড্ডা থানা রিকশা মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন মামুন বলেন, ‘বৈধ রিকশা চলাচল করলে ওই সড়কে যানজট হবে না।’

এ সময় মামুন বলেন, ‘ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রিকশার জন্য আলাদা লেইন তৈরি করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। লেইন তৈরির আগে পর্যন্ত এই সড়কে রিকশা চলাচলের অনুমতি দিন। আমরা আশ্বস্ত করছি, সড়কে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না।’

রিকশা মালিক মোহাম্মদ টিপু মিয়া বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ছিলাম যে মেয়র রিকশার জন্য আলাদা লেইন করে দিবেন। কিন্তু তিনি তো আমাদের কোনো কথাই রাখেননি। সরকারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করতে পারব না। যা বলেছেন তাই মেনে নিতে হবে।’

প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে ঢাকা মহানগরীর অবৈধ যানবাহন দূর/বন্ধ, ফুটপাত দখলমুক্ত ও অবৈধ পার্কিং বন্ধে গঠিত’ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কুড়িল-সায়েদাবাদ, গাবতলী-আজিমপুর ও সায়েন্সল্যাব-শাহবাগ রুটে রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।

এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রথম দিন রিকশাচালক ও মালিকদের তৎপরতা চোখে না পড়লেও সোমবার থেকে রাস্তায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা।