ইরানের তেলবাহী দুটি জাহাজ আটক করেছে সৌদি আরব-যুক্তরাজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ইরানের একটি তেলবাহী জাহাজকে পণবন্দী করে রেখেছে সৌদি আরব। জাহাজ আটকে রেখে ইরানের কাছে বিপুল অংকের অর্থ দাবি করে দেশটির সরকার। ২ মে সৌদি উপকূল রক্ষীরা লোহিত সাগরের জেদ্দা বন্দরের কাছ থেকে হ্যাপিনেস-১ নামে সংকটাপন্ন ওই ইরানি তেল ট্যাংকারটি উদ্ধার করে সৌদি আরব।
এ সময় ওই জাহাজে ২৬ জন আরোহী ছিলেন। জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। জাহাজটি ঠিক করার দুই মাস পরেও সৌদি কর্তৃপক্ষ জাহাজটিকে বন্দর থেকে যেতে দিচ্ছে না। পাশাপাশি জাহাজটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিদিন দুই লাখ ডলার অর্থ দাবি করছে।
ইরান ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সহকারী সভাপতি মোহাম্মাদ জাওয়াদ জামিল নোবান্দেগানি মনে করছেন, সৌদি সরকার জাহাজটিকে পণবন্দী করেছে। ইয়েমেনে সৌদি আরব যে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে তার প্রতিশোধ নিতে তারা ইরানি জাহাজ আটকে রেখেছে। তিনি বলেন, এটি একটি শিশুসুলভ আচরণ ও শেষ পর্যন্ত সৌদি সরকারের ক্ষতি হবে।
এদিকে সিরিয়াগামী একটি সুপার তেলট্যাংকার আটক করেছে ব্রিটিশ সরকার নিয়ন্ত্রিত জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ। সিরিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা অমান্য করে জাহাজটি অপরিশোধিত তেল নিয়ে সিরিয়ায় যাচ্ছিল বলে দাবি করেছে জিব্রাল্টার। তবে ধারণা করা হচ্ছে ইরান থেকে তেল নিয়ে জাহাজটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জিব্রাল্টারের মুখ্যমন্ত্রী ফ্যাবিয়ান পিকার্ডো এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ব্রিটিশ মেরিন সেনাদের সহায়তায় পুলিশ ও কাস্টমস এজেন্সি গ্রেস-১ নামের জাহাজটি আটক করে। বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, জাহাজে করে অপরিশোধিত তেল সিরিয়ার বানিয়াস শোধনাগারে নেয়া হচ্ছিল। সিরিয়ার ওই তেল শোধনাগারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ২০১১ সালে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তিনি একে সঠিক ও শক্ত পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন। পশ্চিমা কোনো কোনো গণমাধ্যম বলছে, ইরান থেকে তেল নিয়ে জাহাজটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল।
