1:22 PM, 13 November, 2025

ঢাকায় ছোট ভাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বড় ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

Gaibandha Pic-1

আশরাফুল ইসলাম
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

“দেখা করলে তো এমনটা হতো না: এসআই রঞ্জিত”
“যন্ত্রাংশ কিনতে গিয়ে হলেন হেরোইন ব্যবসায়ী”
প্রথমে বললেন চুরি, পরে দেখি …
“টাকার জন্য বেধড়ক পেটান ওসি”

আমার ছোট ভাই রিয়াদ হোসেন ঢাকায় তার ব্যবসায়িক মালামাল আনতে গেলে ঢাকার ওয়ারী থানার পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশ জানায়, তাকে চুরির ঘটনায় আটক করা হয়েছে। পরে রিয়াদের নামে মামলায় দেখানো হয়, রিয়াদকে ঢাকার ভাসমান হেরোইন ব্যবসায়ী হিসেবে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রিয়াদের সাথে কথা বলতে গেলে জানান, ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান টাকার জন্য তাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন। রিয়াদ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে জানান রিয়াদ। এসময় রিয়াদ ওসির কাছে বলেছিল, আমি গরীব মানুষ, টাকা কোথায় পাবো। তারপরও ছাড় দেওয়া হয়নি রিয়াদকে। মিথ্যা একটি মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমার ছোট ভাইকে। ১৭ মে আমার ভাইয়ের সাথে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করে জানতে পাই পুরো ঘটনায় তাকে ফাঁসানোর বিষয়টি।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে গাইবান্ধা শহরের ভিএইড রোডের সৈয়দ কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকার ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান ও বাদী এসআই রঞ্জিত সরকারের বিরুদ্ধে গাইবান্ধার রিয়াদ হোসেনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন রিয়াদ হোসেনের বড় ভাই জাভেদ হোসেন। এ ব্যাপারে পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিএমপির পুলিশ কমিশনার ও ওয়ারী জোনের ডিসি বরাবর তিনটি অভিযোগ দাখিল করেছেন জাভেদ হোসেন। যা তদন্তাধীন রয়েছে।

জাভেদ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, রিয়াদ হোসেন পেশায় একজন লেদমিস্ত্রি। রিয়াদ গাইবান্ধা পৌর এলাকার পূর্বপাড়ার মৃত মিজাম উদ্দিনের ছেলে। গত ৯ মে তিনি ওয়ার্কসপের মালামাল ক্রয় করতে ঢাকার জয়কালি মন্দির সংলগ্ন হোটেল ওসমানিয়ায় ওঠেন। ১৩ মে বিকেলে তার স্ত্রী ববি বেগমের সাথে মোবাইলফোনে কথা বলার পর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাত ৯টার পর রিয়াদের চাচাতো শ্যালক সেলিম রিয়াদের মোবাইল নম্বরে কল করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ারী থানার একজন রিয়াদের মোবাইলটি রিসিভ করে বলেন, রিয়াদকে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

১৪ মে সকালে ঢাকা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম আমাকে ফোন করে বলেন, আপনার ভাই রিয়াদ হোসেন ওয়ারী থানায় চুরির মামলায় আটক আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে আদালতে পাঠানো হবে, তাকে জামিন করাতে চাইলে আমার সাথে দেখা বা বিকাশে টাকা দিন। পরে আমি তাকে দুই হাজার টাকা পাঠিয়েও দিই।