হরিপুর হাসপাতালের বেহাল দশা, ময়লা আবর্জানায় নোংরা পরিবেশ

সোহেল রানা মানিক
হরিপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাও জেলার হরিপুর উপজেলা হাসপালের সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডাক্তার আছে মাত্র একজন। অপর দিকে হাসপাতালে ময়লা আবর্জনায় দুর্গন্ধে অতিষ্ট রোগীরা। অদ্ভুত ক্ষমতাধর চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারি গুলো থাকার কথা হরিপুরে হাসপাতালে, আছেন প্রেষণে ঠাকুরগাও সদর হাসপাতালে পরিছন্ন কর্মী সহ আরো অনেকে ।
ভিতরে গেলে দেখা যায় অচল হয়ে পরে আছে সরকারি হাসপাতালের এম্বুলেন্স টি ।
রোগীদের ওয়ার্ড রুমে প্রবেশ পথে কুকুর বিড়ালের পায়খানা দেখে মনে হয় পরিত্যক্ত ভবন। অবাধে ছাগল বিচরণে পায়খানায় ওয়াডের মেঝে নোংরা ভিতরে ছাগলের পালনের ঘর।
বাহিরে জঙ্গল ছেয়ে গেছে ভবনের আশ পাশে, যে কোন সময় বিষাক্ত বিষধর সাপ আসতে পারে বলে রোগীরা জানায়,সন্ধা বেলায় মশার উপদ্রব্য রোগীরা অতিষ্ট।পরিছন্ন কর্মী থাকলেও লাপাত্তা। চিকিৎসা ব্যবস্থা চলছে তেল প্রায় শেষ নিভু নিভু প্রদীপের মত। যে কোন সময় নিভে যাবে একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র টি।
হরিপুর উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ জনসাধারণের বসবাস, তিন ডাক্তার থাকলে মাঝে মাঝে কাউকে পাওয়া যায় আবার কাউকে পাওয়ায় যায় না।
প্রসূতি সেবা চালু থাকলেও ডাক্তারের অভাবে বন্ধ । এম্বুলেন্স এর অভাবে প্রসূতি মাকে বহু কষ্টে নিয়ে যায় জেলা সদর হাসপাতালে, সেখানে গরীব রোগীরা শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে তাদের চিকিৎসা নিতে হয় । যেটুকু চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু আছে। তাও আবার নোংরা পরিবেশে। সরকারি হাসপাতালে ছাগলের অবাধ বিচরণ। ঠিকমত রোগীর সেবা পায় না। মুনিশগাও গ্রামের রোগী বিউটি বেগম জানান, দুইদিন দিন ধরে ভর্তি আছি, সরকারি হাসপাতালে কোন ঔষধ দেয় না, দেয় শুধু ভিটামিন।
এই বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাঃ অনিমেষ চন্দ্র কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, সরকারি ভাবে যে ঔষধ গুলো পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়েই আমরা সেগুলোই রোগীকে চিকিৎসা দেই। অনেকে ছুটিতে আছে তাই কিছুটা সমস্যা, আর পরিছন্ন কর্মীর অভাবে জঙ্গল পরিস্কার করা হয়নি ।বার বার এম্বুলেন্স মেরামতের চাহিদা দিয়েছি কিন্তু এখন পাই নি।রোগীদের যতটুকু সম্ভব চিকিৎসা দিচ্ছি।
