3:25 AM, 13 November, 2025
49938728_545076895959210_4682534153969729536_n-488x337
সুরাইয়াতুল জান্নাতী মুক্তাঃ
এই ধাঁদাটা হয়ত আমরা কম বেশি সবাই জানি। “”শুধু মাত্র তোমার নিজস্ব একটা জিনিস তুমি ছাড়া সবাই ব্যবহার করে””
কি সেটা?  মনে কর, মনে কর।
হাহা হয়ত বুঝে গেছো।
হা ঠিক, তোমার নাম।
একজনের মানুষের দেওয়া অনেক নাম থাকতে পারে। আমাদের বাড়িতে এক নাম, বাইরে আরেক নাম থাকে অনেক সময়। কখনো কখনো কারোর কারোর  সাথে নাম গুল একাধিক বার মিলেও যায়। এ সব নামের বাইরেও আমাদের একটা নাম আছে।
যেটা সবার সাথেই এক সময় মিলে যাবে। যে নাম একবার ই নেওয়া হয়।
ভাবছ কি সেই নাম?
বেশি ভাবতে হবে না।  খুবিই সহজ একটা নাম। যে নামে পরিচিত একদিন হতেই হবে আমাদের।
         “” লাশ “”
হা লাশ।
যেদিন এই নামে পরিচিত হব সেদিন হয়ত আমি নিজেকে নিয়ে আর ভাববো  না। তখন আমার পরিচিতরাই আমাকে নেওয়া স্রিতি গুলো হয়ত সরণ করবে।
দুরের মানুষ  গুলো হয়ত আমার এই নাম শুনে একটু তাদের ব্যাস্ত জীবন থামিয়ে অবাক হবে। তারপর দীর্ঘ
শাস নিয়ে আবার তাদের কাজ করবে।
কাছের ভালবাসা মানুষ গুলো হতাৎ চমকে হয়ত কান্নায় ভেঙে পড়বে।  আস্তে আস্তে থেমে, আমাকে নিয়ে অনেক কথায় তাদের তখন মনে পড়ে যাবে। কিছু দিন পর ব্যাথাটা  তাদের প্রশমিত করে দিবে।
আর অতি প্রিয় মানুষ  গুলো হয়ত আমার নাম এর সংবাদ পেয়ে থমকে যাবে। ক্লান্ত হয়ে যাবে হয়ত আমাকে হারানর দুঃখে অজস্র কান্না করতে করতে।
তারপর কি? তারপর তারাও থেমে যাবে এক সময়।  কিছুদিন তাদের জীবনটা স্থগিত থাকার মতো থাকবে হয়ত। তারপর পৃথিবীর সেই অস্তায়ী মায়ায় ডুবে যাবে।
হয়ত তারা আমাকে পুরোপুরি ভুলে যাবে না। হতাৎ হটাৎ ই কোনো এক কাজের ফাঁকেফাঁকে আনমনা হয়ে মনে পড়ে  যাবে আমার কথা। মুখটা তখন হয়ত ভার হয়ে যাবে বা যাবে না। হয়ত মনটা মলিন হয়ে যাবে বা হবে না। হয়ত চখের কোণে জল চলে আসবে বা আসবে না।
সব শেসে আবারও ব্যাস্ত হয়ে পড়বে।
কিন্তু সেই দিনের মতো আবেগ ভরা কান্না আর কেউ কাদবে না।