মৌলভীবাজারে ভোক্তার উপ-পরিচালককে ২ঘন্টা অবরুদ্ধ : পুলিশ এসে উদ্ধার

মো: আবদুর রহিম, মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকে অভিযানের সময় ব্যবসায়ীদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ সময় ব্যবসায়ীরা দোকান-পাট বন্ধ করে প্রায় ২ ঘন্টা সড়ক অবেরোধ করে রাখেন। পরে জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ তোলে নেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার দূপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের এম সাইফুর রহমান সড়কের কয়েকটি কাপড়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে জরিমানা করতে যান ভোক্তা অধিকারের উপপরিচালক মোঃ আল আমিন। পরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে থাকে উদ্ধ্বার করে নিয়ে আসে।
ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, দুপুরে অভিযান শুরু করলে শহরের কোর্ট রোডে রাজমহলে ইফতার সামগ্রীতে পোকা থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এর পর সেন্টাল রোডের একটি কাপড়ের দোকানে গিয়ে বিদেশী প্যন্টের দাম ২৪০০ টাকা দেখে কাগজ পত্র দেখে চান ভোক্তা অধিকারের । পরে কাগজ পত্রে ধরা পরে এটি দেশি প্যান্ট এবং দাম ৭’শ। তাই এই দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর পর সেন্টার রোডে এমবি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে পণ্যের অতিরিক্ত দাম, নিজেদের মত দাম নির্ধারণের অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং এর পর তা আদায় করেন ।
এর পর বিলাস ডিপার্টমেন্টে গিয়ে পন্যের অতিরিক্ত দাম, বিদেশী পন্যের দাম নিজেদের মত করে নির্ধান, দেশী পন্যকে বিদেশী ব্র্যান্ড নাম দিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ করলে বিলা্স কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানায় এবং এ নিয়ে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে আশেপাশের ব্যাবসায়ীরা এক হয়ে জেলা ভুক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল-আমিনকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে পাশের একটি দোকানে জিম্মি করে রাখে।
এ সময় আশে পাশের ব্যবসায়ীরা দোকান পাঠ বন্ধ করে রাস্তায় অবস্থান নেয় পরে পুলিশ উদ্ধ্বার করে নিয়ে আসে। এ সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, যখন তখন ভোক্তা অধিকারের অভিযানের কারনে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে । তাদের দাবী তাদেরকে না জানিয়ে অভিযান করা যাবেনা ।
বিলাশ ডিপার্টমেন্টের স্বত্বাধিকারী সুমন আহমদ জানান, সারা বছর জেলা ভোক্তা অধিকার ঘুমিয়ে থাকে কিন্তু যখন ২০ রমজান আসে তখন জমজমাট ব্যবসার টাইমে তারা অভিযান পরিচালনা করে ব্যবসায় ব্যাঘাত ঘটায়।
মৌলভীবাজার জেলা বিজনেস ফোরামের সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জানান,কোন ধরনের লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটেনি বরং আমরা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উত্তেজিত ব্যবসায়ীদের হাত থেকে উনাকে নিরাপদ স্থানে রেখেছি।
এই ব্যবসায়ী নেতা অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট একজন ব্যাক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা ভোক্তা অধিকার যখন তখন অভিযান পরিচালনা করে ইচ্ছেমত জরিমানা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।
এ ব্যপারে জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আল-আমিন জানান, পণ্যের অতিরিক্ত দাম, বিদেশী পণ্যে নিজেদের মত করে দাম বসানো এবং পণ্যের গায়ে থাকা দামকে টেম্পারিং করে নিজেদের মত বসানোর অভিযোগে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তারা আমাদের লাঞ্ছিত করে সরকারী কাজে বাধা দেয়।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, ভেজাল বিরোধী অভিযানে গেলে ব্যবসায়ীরা থাকে লাঞ্ছিত করে এবং জিম্মি করে রাখে পরে আমরা গিয়ে থাকে উদ্ধ্বার করে নিয়ে আছি।
