2:16 AM, 13 November, 2025

‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মুসলিম যুবককে প্রহার

india_44

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিমে গুরগাঁও এলাকার একজন যুবককে ভারত মাতা কি জয় এবং জয় শ্রীরাম বলার জন্য জোর করার পর তিনি তা প্রত্যাখ্যান করায় প্রহারের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

২৫ বছর বয়সি মোহাম্মদ বরকত আলম শনিবার রাতে এই হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ করেন।

তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, রাতের নামাজ পড়ার পর মসজিদ থেকে নিজের বাড়িতে যাওয়ার পথে ৫ থেকে ৬ জন লোক তার পথরোধ করে দাঁড়ায়। এসময় তার মাথার টুপি খুলে ফেলে দেয়া হয় এবং তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ শ্লোগান দেয়ার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। মোহাম্মদ বরকত তা করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে প্রহার করা হয় এবং তার জামা ছিঁড়ে ফেলা হয়।

মোহাম্মদ বরকত আলম উল্লেখ করেন, তিনি যখন হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন তখন আশেপাশের মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন কিন্তু কেউই তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি।

এই ঘটনায় পুলিশের কাছে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ওই স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এখনো শনাক্ত করা হয়নি বলে জানা গেছে।

গুরগাঁও এলাকাটি ভারতের রাজধানীর কাছেই এবং এটি বিজেপি শাসিত হরিয়ানা রাজ্যের অংশ। এবারের লোকসভা নির্বাচনে হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লিতে ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

গুরগাঁওয়ের এই ঘটনার আগে মধ্যপ্রদেশে দুইজন ব্যক্তিকে গরুর মাংস বহনের অভিযোগে গাছে বেঁধে পিটানোর ঘটনা ঘটেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলাকারীরা একজন নারীকেও জুতা দিয়ে প্রহার করছে। এসময় একজন হামলাকারী ‘জয় শ্রীরাম’ বলে শ্লোগান দেয়। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন নিজেকে রাম সেনার সদস্য বলে উল্লেখ করেছে। শুভম সিং নামে ওই ব্যক্তিকে বিজেপির সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের সঙ্গে একটি ছবিতেও দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভূমিধস জয় পায় বিজেপি। জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র নেতা, সংসদ সদস্য এবং মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থা অর্জন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।