12:33 AM, 13 November, 2025

পঞ্চগড়ে ময়নামতির চর হতে পারে দেশের অন্যতম পিকনিক স্পর্ট

IMG_20190330_132153

কাজী সাইফুল,

দেবীগঞ্জ প্রতিনিধি,পঞ্চগড়ঃ

………………………………………..

লাল সবুজের দেশ বাংলাদেশ। নদীর তীরে কাশফুল, মাঠ ঘেরা সবুজ ফসলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষের মনকে আনন্দমুখর করে তোলে। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার অপরূপ ছায়াঘেরা আর মন ছুঁয়ে যায় এমন একটি স্থান হলো ময়নামতির চর। উপজেলা সদর হতে এক কিলোমিটার দক্ষিণে ময়নামতির চরটি অবস্থিত। করতোয়া নদীর কোল ঘেষে ময়নামতি চরটি হয়ে উঠেছে আরও প্রাণবন্ত যা দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।ময়নামতির চর প্রায় ৩৫ একর জমি জুরে বিস্তৃত। উক্ত চরে বন বিভাগ কর্তৃক বিভিন্ন ধরণের গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। গাছ পালার মধ্যে রয়েছে, আমলকী, আতর, নিম, মেহগনি, কড়াই, দেবদারুসহ নানা প্রজাতির প্রায় ৩০ হাজার গাছপালা। এই ময়নামতির চরটি করতোয়া নদীর সংলগ্ন হওয়ায় উক্তস্থানটি অপরূপ শোভা ধারন করেছে।যেখানে ২০১৩ সালের ২৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় রোভারমূট ও পঞ্চম জাতীয় কমডেকা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।
এছাড়াও ময়নামতির চরের উত্তরে সৃজিত হয়েছে চা বাগান, বাংলাদেশের অপরুপ সৌন্দর্যময় করতোয়া সেতু, ডিসি পার্ক যেখানে রয়েছে কচিকাঁচাদের খেলনা সামগ্রী। ১৯৪৮ সালে পয়লা ফেব্রুয়ারি যখন পঞ্চগড় জেলা গঠিত হয় তখনি আত্মপ্রকাশ পায় দেবীগঞ্জ উপজেলার। পঞ্চগড়ের দক্ষিণ পূর্বে আর নীলফামারী জেলার ডোমারের ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে দেবীগঞ্জের অবস্থান হওয়ায় এসব এলাকা থেকে অনেক দর্শনার্থী এখানে ঘুরতে আসেন। গালিব হাসমি নামের এক দর্শনার্থী জানান, দেবীগঞ্জের ঐতিহ্যময় ময়নামতির চরে আসলেই মনের মুগ্ধতা বৃদ্ধি পায়। কারন খোলামেলা জায়গায় হাজারো গাছ-গাছালির ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে বসার জন্য সিমেন্টের ব্রেঞ্চ। নদীর পার ঘেষে উঁচু চরটি দেখতে পর্বতের মত যার চারিদিক রয়েছে পাকা রাস্তা, যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে তোলে। সরকারী ও স্থানীয় রাজনীতিবীদ, সমাজসেবকদের পৃষ্টপোষকতায় এই ময়নামতির চর হতে পারে উত্তর অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ পিকনিক স্পর্ট বা পর্যটন কেন্দ্র। এতে যেমন দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়ও হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *