9:56 PM, 12 November, 2025

কি সুন্দর এক নাটক রুমাচিত হলো গাইবান্ধার তুলসীঘাট শামসুল হক ডিগ্রী কলেজ মাঠে

digri

আশরাফুল ইসলামঃ

গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার তুলসীঘাট শামসুল হক ডিগ্রী কলেজের টাকার বিনিময়ে নকল প্রদানে শিক্ষক বই দেখে এইচ এস সি উচ্চত্তর গণিত পরীক্ষার দেওয়ার সুযোগ করে দেয় শিক্ষকগণ শীর্ষক সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবুর পাঠানো নিউজ বাংলাভিশনে প্রচারিত করার প্রতিবাদে ও সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবু শাস্তির হিসাবে ফাসীর দাবীতে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী অভিভাবকদের ব্যানারে নিজেদরে অপকর্ম ঢাকতে অধ্যক্ষ ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের অর্থায়নে লোকদেখানো শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে এক মানববন্ধন অত্র প্রতিষ্ঠানের মাঠে অনুষ্টিত হয়েছে। এই মানববন্ধনটি নিজেদের অপরাধ ঢাকতে মানববন্ধনের নামে সুন্দর একখান নাটক রুমাচিত হলো অধ্যক্ষের নেতৃত্বে।
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ঘন্টা ব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে কলেজের অধ্যক্ষ একরামুল হক জানান,গত ১০-/০৫/২০১৯ ইং তারিখে বাংলা ভিশন টিভিতে তুলসীঘাট শামছুল হক ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে নকল সহ অন্যান্য বিষয়ের যে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তাহার প্রতিবাদ সহ জবাব প্রদান করছি। বাংলা ভিষন টিভির সংবাদটি অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন সংবাদ।
উচ্চতর গনিত পরিক্ষায় নকলের যে চিএ প্রদর্শন করা হইয়াছে। তাহা তুলসীঘাট শামছুল ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে ভিডিও চিএ নয়। তিনি আরো বলেন গত ১৯৯৮ ইং সাল থেকে দীর্ঘ ২২ বৎসর যাবৎ এই কলেজ কেন্দ্রের সুনামের সহিত পরিক্ষা পরিচালিত হইয়া আসিতেছে। এটি ক্ষুন্ন করিবার জন্য ষড়যন্ত্র করিয়া মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হইয়াছে। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে নকল মুক্ত পরীক্ষা সফলতা ক্ষুন্ন করিবার জন্য এই মিথ্যা খবর প্রচার করা হয়েছে।
ভিডিও চিএটি দেখানো হয়েছে কারিগরি শাখার। খবর দেখানো হয়েছে জেনারেল শাখা তুলসীঘাট শামছুল হক ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তিনি আরো বলেন ভিডিও চিএটি প্রায় ০১(এক) মাস পরে দেখানো হইতেছে, ইতিমধ্যে কারিগরি শাখার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ভিডিও চিত্রটি এডিটিং করা। ব্যবহারিক পরীক্ষা চিএ বিভিন্ন ভাবে এডিটিং করিয়া ষড়যন্ত্র মুলকভাবে এই চিত্রটি তৈরি করা হইয়াছে।
চিত্রে কারিগরি শাখার শিক্ষকের অর্থ উত্তোলনের যে ছবি দেখানো হইয়াছে তাহা কারিগরি বি,এম শাখার ০৪( চার) সপ্তাহের বাস্তব প্রশিক্ষণ সহ শিক্ষা সফরের জন্য তাহার ফিস আদায়ের চিত্র। প্রতিবছর পরীক্ষার পর যাহা করা হয়। এই চিএটি বিভিন্নভাবে এডিটিং করা হইয়াছে। এই মিথ্যা, অসত্য, ভিতিহীন,বানোয়াট ষড়যন্ত্র, মূলোক সংবাদ প্রচার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এসময় মামুনুর রশিদ,শাহিদুল ইসলাম ও অভিযুক্ত শিক্ষক সুমন বক্তব্য রাখেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে অধ্যক্ষ একরামুল হক জানান এ নিউজ
প্রচার করার জন্য সাংবাদিক আতিক বাবু তাহাদের কাছে ক্যালকুলেটরে মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছেন এবং দাবীকৃত টাকা না দেওয়া বাংলাভিশনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করেছেন । এ কারণে সাংবাদিক আতিক বাবুর শাস্তি হিসাবে ফাসীর দাবী জানান এই অভিযুক্ত অধ্যক্ষ। তিনি সহ অভিযুক্ত শিক্ষক গণের অর্থায়নে নিজেদের দীর্ঘদিনে অপরাধ ঢাকতে শাক দিয়ে মাছ লুকিয়ে রেখে ঝল খেতে তৎপর হয়ে পড়েছেন। নিজেদের পন্থী ছাত্রদের দিয়ে মানববন্ধনে শ্লোগান দিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকার চাদা দাবীকারী ও মিথ্যা নিউজ প্রচারকারী সাংবাদিক আতিক বাবু ফাসী চাই ফাসী চাই শ্লোগন দেওয়ানো হয়। যাহা রুমাচিত বিশাল একটি সুন্দর নাটকে রুপ নেয়।
কিন্তু অধ্যক্ষ সাহেব ভুলে গেছেন যে তিনিসহ তাহার প্রতিনিধিগণ যে সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বাবুকে টাকা দিতে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটিরও ভিডিও বাংলাভিশন কতৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছেন সাংবাদিক আতিক বাবু।
এছাড়াও বাংলাভিশনে প্রচারিত এ সংবাদে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সহ জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন বলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনেক আগে হতে অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনাটির দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিয় পাঠক আপনাদের নিকট সহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আমি একজন ক্ষুদ্র সংবাদ কর্মী হিসাবে জানতে চাই যদি কেউ কারো নিকট মোটা অংকে টাকা চাদা দাবী করে বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের হুমকি প্রদান করে তাহলে সংশ্লিষ্ঠ এলাকার থানায় কোন প্রকার জিডি বা অভিযোগ প্রদান করেনি কেন অভিযুক্ত শিক্ষক ও অধ্যক্ষ একরামুল হক সাহেব বা পরিচালনা পরিষদ। সংবাদ প্রকাশের পর চাদাদাবী করেছে বললেই তা প্রমাণ করা মতো ক্ষমতা এসব দূর্নীতিবাজ শিক্ষকদের হবে না বা নেই ।
এ মানববন্ধনে এটাই প্রমানিত হয় যে সত্য প্রকাশ পাওয়ায় বিপাকে পরতে যাচ্ছেন দীর্ঘদিনের অপরাধীরা একারণে সুন্দর নাটক রুমাচিত করলেন তারা।