9:54 PM, 12 November, 2025

সাবরিনার এনআইডি জালিয়াতিতে ইসি-ডিএসসিসির দুই কর্মকর্তা

Picsart_22-06-20_15-27-14-334
ইসির এক কর্মকর্তার যোগসাজশে সাবরিনা এনআইডি জালিয়াতি করেন।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাবরিনা ২০০৯ সালে প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্র পান। তাঁর আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য পেয়েছে ডিবি।
দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্রটি ২০১৬ সালে করা। দুটি পরিচয়পত্রে সাবরিনার নামের বানান, ঠিকানা, জন্মতারিখ, পেশা ও মায়ের নামের বানানে ভিন্নতা রয়েছে।
তদন্তে জালিয়াতির ঘটনায় ইসি ও ডিএসসিসির দুই কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাঁদের এই মামলার অভিযোগপত্রে অন্তভুক্ত করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারপর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।
ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, সাবরিনা ১৯৯১ সালে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে এমবিবিএস পাস করেন। তবে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে করা দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ৮ বছর বয়সে এসএসসি পাস করেন। ১৭ বছর বয়সে এমবিবিএস পাস করেন। জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে করা তাঁর দ্বিতীয় আয়কর বিবরণী সনদে একই ধরনের তথ্য রয়েছে।
করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করে ভুয়া ফলাফল দেওয়ার অভিযোগে ২০২০ সালের ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাবরিনা জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।
মামলা তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা বলেন, সাবরিনার দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্রটি বায়োমেট্রিক করা ছিল না। দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র ও আয়কর বিবরণী সনদের তথ্য প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট ছিলেন তিনি। এ জন্য তিনি সব জায়গায় এসব তথ্য দিচ্ছিলেন।
ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, সাবরিনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নথি থেকে তাঁর এসএসসির সনদ সরিয়ে ফেলেছেন। এ কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবরিনার এসএসসির সনদ ডিবিকে দিতে পারেনি।
করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় ২০২০ সালের ৫ আগস্ট সাবরিনা, আরিফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি। এ মামলার বিচারকাজ চলছে। সাবরিনা-আরিফুল এখন কারাগারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *