12:29 AM, 13 November, 2025

ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

received_379068804154746
ঠাকুরগাঁওয়ে “গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক” সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আজ রোববার উন্নয়ন সংস্থা ইএসডিও’র সেমিনার হলে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
ইএসডিও ও বিআরআইড’র যৌথ আয়োজনে বছরব্যাপী “গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক কক্তৃতামালা উপলক্ষে সেমিনারে ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি ঠাকুরগাঁও প্রেস কাবের সভাপতি মনসুর আলী, বাংলাদেশ বেতার ঠাকুরগাঁওয়ের আঞ্চলিক পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, মানবাধিকার কর্মী এ্যাড. জাহিদ ইকবাল, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম রুবায়েত প্রমুখ। সেমিনারে সংস্থার কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, পরিবেশবীদসহ প্রায় ৫০ জন অংশ নেন। বক্তারা গ্রামীণ উন্নয়নে সমগ্র মানবজাতিকে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, মানবীয় উন্নয়নের যে ধারা, এ জায়গাটাই আমরা কি করছি, কি অবস্থায় আছি। এটার ঐতিহাসিক দিক নিয়ে আলোচনা করা দরকার। মানুষের মানুষ হয়ে উঠাটা খুবই জরুরী। একসময় বাংলাদেশের মানুষকে মানুষ হিসেবে গন্য করা হতো না। আজকে মানুষের যে সামাজিক মর্যাদা এটা আধুনিক রূপ নিলেও বাস্তবে রূপ নেয়নি। মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস, মানুষ হয়ে উঠার ইতিহাস জানতে হবে। এক সময় শ্রেণী বিভক্ত মানুষ ছিল। আমরা কতটা মুক্তি পেয়েছি সেটা আজও প্রশ্নের বিষয়। বিভিন্ন ধারনাগুলো সমাজে চলে এসেছে। যে লোকটা শোষিত সে নিজেও জানে না। কারণ সে হাজার হাজার বছর থেকে এটা দেখে আসছে। ফলে তাদের যে মুক্তি, এটা একটা কঠিন বিষয়। জনসাধারণ প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখিন হয়েছে। নানা ভাবে তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে। তখন বিষয়টা ছিল স্বাধীনতার। সেখানে মুক্তির কথাও বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই মুক্তি ছিল চল্লিশ লক্ষ আফ্রিকানদের মুক্তি। এই মুক্তি ছিল হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসা শাসক শ্রেণী থেকে মুক্তি। যে শ্রেনীটা শাসন করে তারা অতি শক্তিশালী। তারা রাজনীতি, অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রীতিকে গিলে নিয়েছে। কিন্তু এটা থেকে মুক্তি খুবই কঠিন। মানবীয় বিষয়টা কতখানি থাকে সেটার প্রশ্ন থেকেই যায়। তারা এর থেকে উত্তোরণ হতে পারেনি। এটা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরী। এর থেকে উন্নয়নে প্রয়োজন সকল শ্রেণীর মানুষের মানবীয় উন্নয়ন। বিভ্রান্তিতে চলে এসেছে পৃথিবী। সর্বস্তরের মানুষের উন্নয়ন কিন্তু পিছিয়ে গেছে। আমরা অগ্রসর জাতি। বাঙালির যুগ যুগ ধরে যে সম্পদ তা হলো মাননিকতা। এটার কারনে বাঙালিরা বলতে পেরেছে “সবার উপরে মানুষ সত্য তার উপরে নাই”। বাঙালিরা মানবিক চেতনা শত শত বছর ধরে ধারণ করছে। এর সাথে সম্পর্কিত সবকিছু ভাবিয়ে তোলে। বাঙালি যে সার্বজনীন, সমগ্র মানবজাতিকে নিয়ে আমি ভাবনার বিষয় স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রে প্রতিফলন হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সাম্য, মানবীয় মর্যাদা, সামাজিক ন্যয়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব গণপ্রজাতন্ত্রী ঘোষনা করার বিষয়টি উঠে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *