2:04 AM, 13 November, 2025

পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় আংশিক কাচা ধান কাটছে কৃষকরা

received_1641425896192276

হঠাৎ করে গত কয়েক দিন যাবত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আর সে কারণেই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগেই আংশিক কাচা অবস্থায় স্থানীয় জাতের বোরো ধান কাটতে শুরু করেছে উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের বোরো ধান চাষিরা। শুকনো মৌসুমে যমুনা চরাঞ্চলে ছোট-বড়-মাঝারি অসংখ্য ডোবা হয়ে থাকে। আর সেই ডোবার চারপাশে এ বোরো ধান চাষ করেন যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলের উপরিভাগে সৃষ্ট ডোবাগুলোতে চলতি বছরে ৯০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪০ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে এবং বাকি ৫০ হেক্টর জমির ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অর্জুনা, গাবসারা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের যমুনা চরাঞ্চল এলাকার ছোট বড় অসংখ্য ডোবার চারপাশে বোরো ধান চাষ করেছে কৃষকরা। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই সেই ধান কেটে ঘরে তুলবেন কৃষক। তবে কিছু জমির ধান কাটলেও অধিকাংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় আংশিক কাচা অবস্থায় কাটতে শুরু করেছে বোরো ধান চাষিরা।

উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি গ্রামের বোরো ধান চাষি আলতাফ মিয়া বলেন, আমি প্রায় এক বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। আর এক সপ্তাহের মধ্যে ধান পুরোপুরি পেকে যেত। নদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধির কারণে ধানগুলো কাটতে হচ্ছে। তবে আর এক সপ্তাহ পরে কাটতে পারলে ভালো ধান পাওয়া যেত।

অর্জুনা ইউনিয়নের কৃষক আজগর আলী বলেন, এ বছর বোরো ধানের আবাদ ভালো হয়েছিল। ইতিমধ্যে কিছু জমির ধান কেটে ফেলেছি। অবশিষ্ট জমির ধান ১০/১২ দিন পরে কাটতে চেয়েছিলাম। হঠাৎ যমুনার পানি বৃদ্ধির কারণে এখনি ধানগুলো কাটতে হচ্ছে। যেখানে ২০ মণ ধান পেতাম, সেখানে এখন ১৪ থেকে ১৬ মণ ধান পাবো।

গাবসারা ইউনিয়নের বোরো ধান চাষি ফজলুল হক, জাহাঙ্গীর ও মতি মিয়া জানান, বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও আমরা বোরো ধান আবাদ করেছি। সারা বছর বোরো ধান দিয়েই সংসার চলে আমাদের। যমুনার তলদেশের বোরো ধান কাটা শুরু না হলেও উপরিভাগের ডোবাতে লাগানো স্থানীয় জাতের বোরো ধান কাটতে শুরু করেছি। আর এক সপ্তাহ পরে কাটতে পারলে আরো বেশি ফলন পেতাম।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার ডা. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চলতি বছরে উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলে ৬৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে চরাঞ্চলের উপরিভাগে ৯০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেগুলো কাটতে শুরু করেছে কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। প্রায় ৪০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি ৫০ হেক্টর জমির ধান কয়েক দিন পরে কাটর কথা থাকলেও পানি বৃদ্ধির কারণে সেগুলোও কাটতে শুরু করেছে বোরো চাষিরা।

1 thought on “পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় আংশিক কাচা ধান কাটছে কৃষকরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *