রাজধানীর সবুজবাগে এসি মেরামত করতে এসে গৃহবধূকে খুনঃ গ্রেফতার- ৩

রাজধানীর সবুজবাগে গৃহবধূ তানিয়া আক্তারকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহজনক ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আব্দুল আহাদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, এসি মেরামতের কাজের কথা বলে মেকানিক বাসায় এসে মা তানিয়া আক্তার মুক্তাকে (২৬) হত্যা করে লুটপাট করে।
তিনজনের নাম বাপ্পী (৩১), সুমন হোসেন হৃদয় (২২) ও রুবেল (৪২)। তাদের মধ্যে বাপ্পীকে ঝালকাঠি থেকে এবং অপর ২ জনকে রাজধানীর রামপুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শনিবার সবুজবাগের দক্ষিণগাঁওয়ের একটি বাসা মুক্তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশে ৪ বছর বয়সী মেয়ে মায়মুনা ও ১০ মাস বয়সী ছেলে তানভীরকে স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, সেদিন এসি মেকানিক বাপ্পী সহযোগী হৃদয়কে নিয়ে ওই বাসায় আসেন। তারা এসে এসি সার্ভিসিং করতে হবে কি না জানতে চাইলে, তানিয়া তার স্বামী ময়নুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। ময়নুল বাসায় ছিলেন না বলে তাদের পরে আসতে বলেন। তানিয়া পরে আবার স্বামীর সঙ্গে কথা বলে এসি মেকানিকদের কাজ করার জন্য দরজা খুলে দেন। পরে বাপ্পী, হৃদয় ও রুবেল বাসায় প্রবেশ করেন। তারা এসির কাজ শুরু করলে, তানিয়া বাসার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে তানিয়া খেয়াল করেন, তারা বাসার আলমারি খুলে জিনিসপত্র ওলটপালট করছে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে রুবেল প্রথমে তাকে বালিশচাপা দেন এবং বাপ্পী চাপাতি বের করে তার মাথায় ও পিঠে ৩টি কোপ দেন। পরে তারা ২ শিশুকে বেঁধে রেখে লুটপাট করে।
পুলিশ লুটপাট করা মালামাল ও ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান ডিসি আব্দুল আহাদ।
তিনি আরও জানান, আজ গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে হাজির করলে আদালত প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
