যশোরের শার্শায় ইউপি সদস্য তবিবুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ

শাহারিয়ার হুসাইন: যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের অগ্ৰভুলোট গ্ৰামে ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তবিবুরের নামে মিথ্যা সন্ত্রাসী মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একই গ্ৰামের হযরত আলীর নামে। সূত্রে অনুযায়ী জানা গেছে,গত ২৪/০৪/২০১৯ ইং তারিখ বুধবার দুপুরে গাছ থেকে কাঁচা আম পাড়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয় ।
এবিষয়ে বাদী হযরত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,গত বুধবার দুপুরে তবিবুর রহমানের শ্যালক আবু মুসার আম গাছ থেকে তার ছোট ছেলে আল-আমিন ও তার কয়জন বন্ধু গোটাকয়েক আম পেড়ে খায় । তা নিয়ে কিছুটা হট্রোগোলের সৃষ্টি হয়।এ নিয়ে তাৎক্ষণিক একটা মিমাংসা হয়ে যায় ।মামলার বাদী কয়েকটি আমের বদলে একমন আম দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেয়। কিন্তু আমগাছ মালিকের ছেলের গলায় অভিযুক্ত আল-আমিন ধারালো কাচতে ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আম না নেওয়ার কথা বলে, গলায় কাচতে কেন ধরলো এই বিচার দাবি করে আমগাছ মালিকের ছেলে আক্তারুল। এখানে বিবাদের শুরু হয়। পরে রাত ৮ টার দিকে অগ্রভুলোট বাজারে আকবর আলীর চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন হযরত আলী এমন সময় তিন চার জন তার উপর হামলা করেন ।তাকে হাতুড়ি এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে বলে জানা যায় ।এ ঘটনায় শার্শা থানায় তবিবুর রহমানসহ ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন তিনি।
এ ঘটনার আসামি ইউপি সদস্য তবিবুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি ৬নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদকে দায়ী করে বলেন , অনেক দিন ধরে চেয়ারম্যানের সাথে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না । রশিদ চেয়ারম্যান তাকে সবসময় পরিষদ থেকে মাইনাস করে রাখতেন । কিছু হলেই তার নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে । তাকে অযাথা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ফোনে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন তবি মেম্বর মারিনি উনি দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তার কয়েকজন সহযোগী হযরতের উপর হামলা করেন । পরে তাকে নাভারণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে সেখানে তিন দিন রাখা হয় । সেখান থেকে কিছুক্ষণ পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানে ৬ দিন ভর্তি রাখা হয় । হযরত আলীর হাত পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং হাতুড়ি ,রড দিয়ে পিটিয়ে থেঁতলে গুরুতর জখম করেছে বলে তিনি জানান । কিন্তু সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় , বাদী পক্ষের বক্তব্যের সাথে মামলার বিবরণের সাথে কোন মিল নেই । বাদী হযরত আলী পা ভাঙ্গা নেই, হাতে সামান্য আঘাত প্রাপ্ত ও পায়ে সামান্য ক্ষত আছে । তার বিবরণ অনুযায়ী বাস্তবে কোন মিল নেই । হযরত আলীর সমস্ত ডাক্তারী রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যশোর ২৫০ শয্যায় এক দিন ভর্তি ছিল ফ্লোরে ।এক্সসেরে রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি।
আরব ডাক্তারের পরামর্শে বাদী গ্ৰাম্য ডাক্তার লিটনের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এবিষয়ে আরব ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি ডাক্তার লিটনকে একটা ব্যাথার ইনজেকশন ও একটি গ্যাসের ইনজেকশন দিতে বলি। এতে করে রোগী সুস্থ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন তেমন গুরুতর সমস্যা ছিল না এবং ভাঙ্গা-ভুঙ্গু ছিলোনা। তারপরো বাদী হয়রত আমাকে সঙ্গে নিয়ে নাভারণ হাসপাতাল থেকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আসলে তার সামান্য আঘাত ছাড়া তেমন গুরুত্বর সমস্যায় ছিল না।
এলাকাবাসীর দাবি তবি মেম্বরকে পূর্বশত্রুতার জেরে এবং চেয়ারম্যানের ইঙ্গিতে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তবি মেম্বর তার এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং তদন্ত করে সঠিক তথ্য প্রকাশের জন্য শার্শার মাননীয় এমপি মহাদয়, প্রশাসনের সকল উদ্ধাতন কর্মকর্তা ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
