কবি সাকিব হোসেনের জোড়া কবিতা

(ক)
শত্রুতা
কোন সুরেতে মিলে গেলে
হারিয়ে আপন তাল,
নিজের পাঁজর ভাংছ রোজই
শত্রুর হয়ে ঢাল।
শবর হয়ে ধীবর সাজো
নকশা বানাও নীল,
সর্বসত্তা বিকিয়ে দিয়ে
গরলে ভরলে দিল।
স্রষ্টার সৃষ্টি বিধান জ্বালা
বিদ্রোহ তাঁহার সাথে,
ইবলিশেরা এক হয়ে তাই
হাত রেখেছ হাতে।
আল্লাহওয়ালা দেখলে সদাই
গাত্রে ধরে জ্বালা,
আপন আত্মায় মারছ হেমার
চক্ষে দিয়ে তালা।
ঈমানদার মানে জঙ্গি দেখ
উগ্রবাদীর বানাও দল,
আর কতকাল ফয়দা নিতে
মিথ্যা রচিবে অনর্গল।
জেল জুলুমে দমন পীড়ন
বীর নাহি যায় টলে,
সত্য ন্যায়ের পক্ষে প্রভু
জিহাদ হয় তাঁর বলে।
জিন্দা থাকতে নিন্দা করো
হিসেব চাপা দাও,
কার খুশিতে আপন ঘরে
আগুন জ্বেলে নাও।
আপন ভালো পাগল বুঝে
চরকায় ভেজাও তেলে,
কাদের সাথে শত্রুতা করো
বুঝবে জীবন গেলে!
(খ)
বাহ্ বেশ
আজকে তুমি অনেক বুঝ
হয়ে গেছ বিবেকবান,
এই খাঁচাতেই করতে বসত
সেজে আমার প্রাণ!
বোধগম্যে বেশ পাকা আজ,
সঠিক বেঠিক বুঝ।
আমার থেকে বেরিয়ে যাবার-
নতুন রাস্তা খোঁজ।
আমার অন্তরালের অন্তরাত্মা
সস্তা করে আজ,
আমার বুকে থাকতে তোমার
এখন লাগে লাজ।
প্রীতির স্মৃতি মলিন করে
কবর দিতে চাও,
নতুন স্বপ্নে বিভোর হয়ে
লাশ বানিয়ে দাও।
আজকে তুমি অনেক বুঝ
মানছ শত প্রথা,
আমার চোখে মেঘলা আকাশ
বৃষ্টি বাড়ায় ব্যথা।
কষ্টগুলো জমাট বেঁধে আজ
ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে,
কৃষ্ণের প্রেমে মন হারিয়ে
যেমন ছিল রাধে।
তবুও তুমি ভাংছ হৃদয়
মায়া হয়না তাও,
আমার শোকের লোনা জলে
সুখে ভাসাও নাও।
নেই অভিমান নেই অভিযোগ
তুমিতো বাহ্ বেশ,
তোমার প্রেমে জ্বলছি রোজই
নিজেকে করে শেষ।
