হোসেনপুর হাট বাজারে নকল বনফুল সহ ভেজাল সেমাইয়ের সয়লাভ

কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় হাট-বাজারে স্থায়ী ব্যবসায়ীদের দোকানে তল্লাশী চালানো হলে কয়েক ধরনের ভেজাল সেমাই উদ্ধার করা সম্ভব হবে। ঈদের ব্যাপক চাহিদার সুযোগে এসব ভেজাল সেমাই মজুদ করে বাজারজাত করছে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রতি প্যাকেট সেমাই ৮/১০ টাকা কম পাওয়ার কারণে ক্রেতারা হামাগুড়ি দিয়ে কিনছে ভেজাল সেমাই বনফুল। ব্যবসায়ীদের এসব প্রতারণার হাত থেকে ক্রেতাদের রক্ষার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবী করেছে।
ঈদ বাজারে বাড়তি আয়ের সুযোগে এক শ্রেণীর মৌসুমী সেমাই ব্যবসায়ী হোসেনপুরের অলি-গলি ও ফুটপাতে অহরহ খোলামেলাভাবে ভেজাল সেমাই বিক্রি করতে দেখা গেছে। হলুদ, লাল, নীল বর্ণের বিভিন্ন ক্ষতিকারক রং মেশানো এসব সেমাই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করলেও স্থানীয় চিকিৎসকেরা বলছেন, এসব সেমাই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক। বাজারের মৌসুমী সেমাই বিক্রেতা নুরুল ইসলাম জানান, সে পাইকারী ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ১/২ ঝুড়ি করে সেমাই কিনে তা বাজারে বিক্রি করে কেজি প্রতি ২০/৩০ টাকা লাভ করেন। এসব সেমাই ভাল না খারাপ তা তার জানা নেই।হাজিপুর বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী মোঃ কাইয়ুম ষ্টোর গোপনে তার শাজাহান সরকার মার্কেট গুদামে ও দোকানে গিয়ে দেখা যায়, গুদামের বনফুল কয়েকশত প্যাক সেমাই, খোলা সেমাই মওজুদ রাখা হয়েছে। কিছু কিছু সেমাই খুচরা বিক্রির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন দোকানে সেল দেন তিনি স্থানীয় কয়েকজন জানালেন। পাশ্বর্বতী নান্দাইল থানার খারুয়া ইউনিয়নের কাদিয়াবাদ গ্রামের মোঃ কামাল নামের এক মাদ্রসার অফিস সহকারী নিন্মমানেরর সেমাই কিনে এনে বাড়ীতে বসে ঢাকা চক বাজার থেকে নকল বনফুল মোড়কে কোম্পানির সিল ব্যাবহার করে এসব সেমাই বাজারজাত করছে । আর এর ডিলার হিসাবে হাজিপুর বাজারের কাইয়ুম ষ্টোর বিভিন্ন এলাকা হতে আগত খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য সেমাই মওজুদ রেখে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন । দামে কম তাই এসব সেমাইয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে দাবি করেন অনেক খুচরা ব্যাসায়ীরা। অন্য কোম্পানীর প্যাকেট থেকে বনফুল সেমাই প্রতি ৭/১০ টাকা কম পাওয়ায় গরীব ক্রেতারা খুশি হয়। তবে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের জন্য ভাল মানের সেমাইও রাখা হয়েছে বলে জানাযায় । এভাবে অসংখ্য দোকানে মওজুদ রাখা হয়েছে ভেজাল সেমাই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহীউদ্দিন কে অবগত করা হলে । তিনি জানান ভ্রামম্যান আদালতের মাধ্যমে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের শায়েস্তা করার জন্য অচিরেই মাঠে নামবে বাজার মনিটরিং কমিটি ও ভ্রাম্যমান আদালত।
