2:41 AM, 13 November, 2025

হোসেনপুরে সমলা খাতুনের পাশে মা’কে নিয়ে ইউএনও

received_2307781129325002

হোসেনপুর( কিশোরগঞ্জ) থেকেঃ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন নিজ মা’কে নিয়ে ছুটে গেলেন অসহায় হতদ্ররিদ আরেক মায়ের কাছে।

বলছিলাম হোসেনপুর উপজেলা সাহেদল ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহেদল গ্রামের বাসিন্দা সমলা খাতুন (৮৫) এর কথা।
জানা যায়, সমলা খাতুন অর্ধাহারে, অনাহারে,গোয়াল ঘরে বসবাস করে কোনভাবে দিনযাপন করে জীবনটাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। পরে সেখানকার স্থানীয় সাংবাদিকরা টীম নিয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করে একাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে, এগিয়ে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মাসুদ অালম, হোসেনপুর থানা। জেলা পরিষদের সদস্য,থানার পক্ষ থেকে একটি টিনসেট ঘর করে দেয়া হয়, উপজেলা ইউএনও র পক্ষে যাবতীয় আসবাপত্রসসহ খাবারে দায়িত্ব নেয়া হয়। তার পর থেকে সুখের সংসার সমলা খাতুনের । সুখের মাঝে আরেটু সুখ বাড়িয়ে দিতে গতকাল ০৯ মে রোজ শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উনার গর্ভধারিণী মা মোছাঃ তাহেরা খাতুন কে নিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও হুইল চেয়ার নিয়ে ছুটে যান সমলা খাতুনের কাছে। হতভাগ এলাকাবাসী, কতটা মনুষ্যত্বের অধিকারী হলে এ কাজ করার সম্ববনাময় হয় তা বর্ণনা করেন সেখানার উপস্থিত জনতা। মোঃ জলিল নামের এক অসহায় জানান, এই স্যারের কাজে আমরা মুগ্ধ আমরা ঋণী, উনি কেমন ঘরের সন্তান তা আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না, অাল্লাহ উনাকে দীর্ঘ হায়াৎ দান করুক, দেশের জন্য গর্ব এমন একজন মানুষ।

শহীদুল্লাহ বয়স ৯০ এর কাছাকাছি। তিনি জানান, আমি স্যারের অফিসে গেছিলাম। আমাকে উনি তার চেয়ার থেকে উঠে এসে আমাকে ধরে বসিয়ে দিয়েছিলে। আমাকে মিষ্টি খাওয়ায়ে দিছে, বাড়ীতে যাওয়ার জন্য ভাড়া দিছে, একটা কার্ডের জন্য গেছলাম সেটাও করে দিছে। আমি রোজা রেখে দোয়া করি তার জন্য আল্লাহ যেন তার অারো বড় করে দেয়।

উল্লেখ্য, সন্তানদের কাছে অনেকটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা সমলা খাতুন। দীর্ঘদিন ধরে গোয়াল ঘরে মানবেতর জীবন কাটাতে হয় তাকে।

এখন নতুন আসবাবপত্র। ঘরে মাথার ওপর ফ্যান আর জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাতি। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার দক্ষিণ সাহেদল গ্রামের সমলা খাতুনের শেষ আশ্রয়স্থল এখন নতুন এ ঘরটি।

পরে হোসেনপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সোনাহর আলী সহযোগীতা , ছেলেরা সবাই ভুল বুঝেতে পেরে ক্ষমা চেয়ে ওনার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *