করোনাভাইরাসে মৃতের মিছিলে ৪২৯০; ১১৫ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়ে

কোভিড-১৯ নামের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ঠেকানোই যাচ্ছে না। আজ ১১ মার্চ, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ২ শ’ ৯০ জনে পৌঁছেছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার একদিনেই মারা গেছেন ২২১ জন। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৬ হাজার ৩৩৫ জন।
আল-জাজিরা জানায়, ইতোমধ্যে বিশ্বের ১১৫টি দেশে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া ঝুঁকিতে আছে আরও অনেক দেশ। ভাইরাসটির শনাক্তস্থল চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৫৪। শুধুমাত্র সেখানেই মারা গেছেন ৩ হাজার ১৩৬ জন।
এর পরের অবস্থানেই আছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ১৪৯ জন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৬৩১ জনের।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর সেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৯১ জনের।
এরপরের উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৫১৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন।
এছাড়া স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬২২ জন, মারা গেছেন ৩৫ জন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪০ জন, আর প্রাণ গেছে ৩০ জনের। ফ্রান্সে ১৬০৬ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩০ জন। জাপানে আক্রান্ত হয়েছে ৫৫৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ৩১৯ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ইরাকে আক্রান্ত ৬০, মৃত্যু ৬। নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত ৩৮২ এবং প্রাণ গেছে ৩ জনের। হংকংয়ে আক্রান্ত ১১৫ এবং মৃত্যু ৩। এছাড়া থাইল্যান্ডে ৫৩ আক্রান্ত হয়েছেন ও ১ জন মারা গেছেন।
এদিকে জাপানে নোঙ্গর করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের ৬৯৬ যাত্রী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কোভিড-১৯ নামের এই করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। উহানের একটি সামুদ্রিক খাদ্য ও মাংসের বাজার থেকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটির উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এরপর চীনের বিভিন্ন শহরসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে।
প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।
