‘আমাদের পার্টি’ বলতে পুলিশ নিজ বাহিনীকে বুঝিয়েছে : সিইসি

পুলিশের মুখে ‘আমাদের পার্টি’ বক্তব্যের পক্ষে সাফাই গাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, “সংঘর্ষের দিন ‘আমাদের পার্টি’ বলতে ওই পুলিশ সদস্য নিজ বাহিনীকেই বুঝিয়েছেন।”
মঙ্গলবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে, ইভিএম-এ ভোটদান পদ্ধতি প্রদর্শন কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। গোপীবাগে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন সিইসি।
এসময় তিনি জানান, ‘ইভিএমে সুষ্ঠু ভোট হবে। এতে জাল ভোট কিংবা ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটবে না।’
এদিকে নির্বাচন কমিশনে সভা শেষে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমে অনিয়ম হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য শতাংশ। তবে জালিয়াতি হলে আদালতে যাবারও সুযোগ রয়েছে। জানান,৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি, রবিবার গোপীবাগে ৩৯নং ওয়ার্ডের টিকাটুলী সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের সামনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকসহ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর সেখানে ওয়ারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমানের দেয়া একটি বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। এনিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে।
পরিস্থিতি এখন কেমন? একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নরমাল, নরমাল, নরমাল… আছে। এখন ইশরাকের পার্টি চলে গেছে মতিঝিল এলাকায়, আর আমাদের পার্টি চলে গেছে সেন্ট্রাল উইমেন্সের (সেন্ট্রাল উইমেন কলেজ) সামনে।’
তার এ বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে ফেসবুকে ইশরাক হোসেন লেখেন, ‘এই পুলিশ সদস্য কোন পার্টি করে?’
পুলিশ সদস্যের এমন বক্তব্য নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নেটিজেনরা বলছে, পুলিশের আবার পার্টি আছে নাকি? আবার কেউ কেউ বলছেন, পুলিশের পার্টি কোনটা…? কেউ কেউ আবার আরো একধাপ এগিয়ে এসে বলছেন, ‘অতি দ্রুত তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি হোক।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘এটাই পুলিশের আসল রূপ। এই পুলিশ বাহিনী দিয়ে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে বলে কি আশা করা যায়?’
