কোটি টাকা আয় করেও সাকিবরা ভুলেনি সতীর্থদের

সাকিব-তামিম-মুশফিক- রিয়াদদের মতো প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটাররা কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেন। তারা চাইলেই ব্যাক্তিগত টাকায় বিমানে যাতায়াত করতে পারেন। ঢাকা থেকে বিমানে করে গিয়ে কক্সবাজার উড়ে গিয়ে মাঠে নামতে পারেন। বিদেশে গিয়ে নিজ খরচে ট্রেনিং কিংবা দামি হোটেলে থাকতে পারেন। ইচ্ছেমতো খাবার খেয়ে নিজেকে ফিট রাখতে পারেন।
এখন অনেকে বলবেন এত ইনকাম করার পর কেন তাদের আরো টাকা চাই? কেন তারা জাতীয় লীগে বেতন বাড়ানোর কথা বলছে? এখানেই রয়েছে সাকিব তামিমদের মহত্ত্ব। নিজেরা কোটি কোটি টাকা ইনকাম করলেও নিজেদের চেয়ে কম আয় করা সতীর্থদের ভুলেনি তারা।
যা সাকিবের বক্তব্য শুনলেই বোঝা যায়। তিনি বলেন, ‘ধরেন একটা ছেলে রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাবে। তাকে দেয়া হচ্ছে ২৫০০ টাকা, যাওয়ার জন্য। সে বাস ছাড়া কিসে যাবে? তাদের বিমান দেয়া উচিত। টিকিট ডিবিশন করে দিক আপত্তি নাই। আর চারদিনের ম্যাচ খেলার পর ফ্রেশনেসের জন্য হোটেলে কমপক্ষে জিম ও সুইমিংপুল থাকতেই হবে। খেলোয়াড়দের প্রতিদিনের ভাতা ১৫০০ টাকা হতে পারে না। তাদের ফিটনেসের যে লেবেল বিসিবি দাবি করছেন তা এই টাকায় সম্ভব না।’
জাতীয় লীগের ম্যাচগুলোতে তিন চার দিনের গ্যাপ থাকে। ক্রিকেটাররা ২৫০০ টাকায় বাসে করে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাচ্ছেন। অনুশীলন করে নেমে পড়ছেন ম্যাচ খেলত। কম টাকার হোটেলে থাকছেন, সেখানে নেই জিম কিংবা সুইমিংপুল।
নিজেদের তারা ফিট করবেন কিভাবে এতো কম টকায়? দেশের ক্রিকেট কর্মকর্তাদের এসব ভাবার সময় নেই।
জাতীয় দলের বাইরে যেসব ক্রিকেটাররা খেলেন তাদের আয় তো সাকিবদের মতো না। কিংবা নতুন খেলোয়াড় যে কেবল উঠে আসছে তার পক্ষে তো নিজে এতেকিছু করা সম্ভব নয়। আর তাই সাকিবরা নিজেদের জন্য দেশের সকল পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য ১১ দফা দাবি পেশ করেন।
শুধু সতীর্থ নয় নিজেদের কথাবাদ দিয়ে তারা দেশীয় কোচ, গ্রাউন্ডস ম্যান সবার জন্য তারা ভেবেছেন। সবার অধিকারের জন্য তারা লড়াই করছেন। তারা তাদের দাবিগুলো পেশ করেছন যাতে তাদের চেয়ে কম আয় করা নতুন ক্রিকেটাররা পর্যাপ্ত সুযোগ পায়। এটা সত্যি সবার জন্য অনেক গর্বের। আর সাকিব- তামিমদের নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
